শরীর সুস্থ্য না থাকলে মন ও সুস্থ্য থাকে না। আর মন সুস্থ্য না থাকলে কোন কাজে সফল হওয়া যায় না। তাই সু-স্বাস্থ্যের জন্য চাই সুষম খাবার। কিন্তু সুষম খাদ্য গ্রহণের পূর্বে জানা প্রয়োজন কোন খাবাদের কোন খাদ্যগুন কি পরিমাণে থাকে।
খাদ্যের প্রকারভেদ :
আমিষ বা প্রোটিন
যে কোন প্রকার মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও ডিমে আমিষ বা প্রোটিন থাকে। তবে মাংসের ভিতর ক্ষতিকর কোলস্টেরল বেশি বিধায় তা প্রচুর পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে মাছ ও দুধ খাওয়া যেতে পারে। ডালকে বলা হয় গরীবের আমিষ, তাই প্রতিদিন ডাল খেতে পারলে ভাল হয়। প্রোটিন দেহের ক্ষয় পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন করে।
কার্বহাইড্রেট
ভাত, রুটি, পরোটা, বিস্কুট কেক ইত্যাদিতে কার্বহাইড্রেট থাকে। কার্বহাইড্রেট শরীরে শক্তি যোগায়। নিয়মিত কার্বহাইড্রেট গ্রহণ না করলে শরীর কর্মক্ষম থাকে না।
ফ্যাট :
তৈল, চর্বি, মাছের তেল দুধ ইত্যাদিতে ফ্যাট থাকে। ফ্যাট শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ক্ষুধার্ত অবস্থায় ফ্যাট শরীরে শক্তি যোগায়। তবে প্রচুর ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলে উচ্চ রক্ত চাপ সহ নানা জটিল রোগ হতে পারে।
ভিটামিন
ভিটামিনকে বলা হয় খাদ্যপ্রাণ। অনেক প্রকার ভিটামিন আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ডি ও ভিটামিন কে। ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-বি এর আবার অনেক প্রকার আছে। ভিটামিন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
লবন
লবন বলতে খনিজ লবনকে বুঝায়। আমরা যে খাদ্য লবন খাই তার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড। এছাড়াও অনেক প্রকার খনিজ লবন আছে। এসব লবন আমাদের শরীরে সোডিয়াম, লৌহ, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি সরবরাহ করে শরীর সুস্থ্য রাখে। সবুজ শাকসবজি ও ফলমূলে এসব খনিজ লবন পাওয়া যায়।
পানি
যে কোন জীবের জন্য পানি অতি গুরুত্বপূর্ণ। তাই পানির আরেক নাম জীবন। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ পানি খাওয়া উচিত। পানি শরীরের দুষিত পদার্থ বের করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ্য রাখে।
সুস্থাস্থ্যের জন্য এই বইগুলো ডাউনলোড করে পড়ে নিন।
No comments:
Post a Comment